১৯৭৭ সালে মাত্র ১৯ জন তৈরি পোষাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক মিলিত হয়ে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ সুরক্ষার জন্য যে সমিতি গড়ে তোলে তাই আজকের দিনের বৃহদায়তন ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ । ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে এই সমিতির নিয়মিত সদস্য ছিল ৩১৯৬ জন। ২০১১ এর জুন শেষে গার্মেন্টস শিল্পের সংখ্যা ছিল ৫,১৫০টি। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে এই খাত দেশের মোট রপ্তানি আরে ৪০.৮% অর্জন করে যার আর্থিক মূল্য ছিল ১,১০৪ কোটি ডলার । BGMEA এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো-
- পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংঘবদ্ধ ও ঐক্য সংহত করা;
- দেশে এবং বিদেশে পোষাক মেলার আয়োজন ও অংশগ্রহণে এর সদস্যদেরকে সংগঠিত করা;
- বিদেশী ক্রেতা, ব্যবসায় সংঘ এবং বণিক সভাসমূহের সাথে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করা; আন্তর্জাতিক বাজারে পোষাকের বাণিজ্য এবং বাণিজ্য মেলাসমূহ তদারক করা;
- তৈরি পোষাক প্রস্তুতকারী ও এর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা; গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা;
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সাথে কোটা নির্ধারণ এবং সংরক্ষণে সরকারি প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা;
- পোষাক রপ্তানিকারক সদস্যদের সাথে ক্রেতাগণের উদ্ভূত যে কোনো বিবাদ মীমাংসায় সাহায্য করা;
- BGMEA এর সদস্য কারখানাসমূহ কর্তৃক আমদানিকৃত কাঁচামালের ছাড়করণের অনুমতি প্রদানের জন্য Utilization Declaration ও রপ্তানি ফরমায়েশ (Export Order) ইস্যু করা;
- পোষাক তৈরি কারখানাসমূহে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড নিবারণের জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ নিশ্চিত করা;
- সদস্য পোষাক শিল্প কারখানায় দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদেরকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য প্রদান করা;
- শ্রমিক কর্মী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াবলির মীমাংসা এবং মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রমিক সংগঠনসমূহের সাথে নিয়মিত বৈঠক করা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি নীটওয়্যার শিল্পও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীটওয়্যার শিল্পের জন্য বাংলাদেশ নীটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (BKMEA) BGMEA এর পাশপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে নীটওয়্যার খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১,২৪২.৭ কোটি ডলার যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ছিল ৪১.৫%।
Read more